বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট কে?
সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা হ'ল বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এয়ারলাইনস এয়ারলাইনস এয়ারলাইন্সের প্রথম মহিলা বিমান বিমান। তিনি অধিনায়ক ছিলেন। তিনি 5 তম বাণিজ্যিক বিমান অপারেটিং শংসাপত্র পেয়েছিলেন।
তার ডাকনাম ছিল তিতলি- যার অর্থ প্রজাপতি। তিনি ১৯৫৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
রোকসানা 1976 সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে যোগ দেন। মাত্র দুই বছর পর, 1978 সালে, তিনি বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স পান। শুধু তাই নয়, সহ-প্রশিক্ষকের লাইসেন্সও পেয়েছেন।
1978 সালে, রোকসানা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং সফল হন, তবে প্রাথমিকভাবে পাইলট হিসাবে নিয়োগ পাননি। এর জন্য তিনি লড়াই করেছেন। তার প্রতি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পত্রিকায় কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, 'একজন নারী হিসেবে আমি এক দফা সুবিধা চাই না এবং আমি কোটার সমর্থকও নই, যদি আমি নিজেকে পুরুষদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে আমি জন্মগতভাবে আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। মেয়ে।'
এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা, যা পৌঁছে যায় জাতীয় সংসদেও। অবশেষে সরকারের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের বিজ্ঞাপন থেকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের শর্ত বাদ দিতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯৭৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর রোকসানা বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে নিয়োগপত্র পান।
তবে তার আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বেশিদিন টেকেনি। নিয়োগের পাঁচ বছর পর 1984 সালের 5 আগস্ট রোকসানা বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি। কিন্তু স্বল্প জীবনে তিনি রচনা করেছেন নতুন ইতিহাস। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের উড়তে শিখিয়েছেন।
৮ ই আগস্ট, যখন তিনি চট্টগ্রাম থেকে এফ -২০ বিমানে করে Dhaka বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন, তখন তিনি বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়ার কারণে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। একই বিমান দুর্ঘটনায় পাঁচ জন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। হতাহতের মধ্যে একজন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন জাপানি এবং পাঁচজন মধ্য প্রাচ্যের বাংলাদেশী ছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে Dhaka পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বিমানটি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দু'বার অবতরণ করার চেষ্টা করেছিল, তবে রানওয়েটি খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।